॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাহাড়ে শান্তি আসবে না। পাহাড়ে শান্তি আনতে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য স্থানীয় প্রশানকে সময়নুপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এসব অবৈধ অস্ত্রধারীরা নিজেরা মারামারি করছে আর ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের চাঁদবাজি, খুন, গুমের কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। শান্ত পাহাড়ে আগুন জ্বলছে তাদের কারণে। অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অরাজকতায় একের পর এক খুন হওয়ার কারণে পাহাড় আজ রক্তে রঞ্জিত।
রোববার (১৩মে) সকাল ১১টার দিকে ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপংকর আরও বলেন, নানিয়ারচর চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। হত্যা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে আলোচনা করতে হয়।
দীপংকর ক্ষোভের সাথে জানান, আমি অবাক হয়েছি। শক্তিমান একজন জনপ্রতিনিধি। সন্ত্রাসীরা নৃশংস ভাবে শক্তিমানকে হত্যা করেছে অথচ অন্যান্য উপজেলার একজন চেয়ারম্যানও এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানায়নি। এর চেয়ে দু:খজনক আর কি হতে পারে।
আ’লীগের এ নেতা আরও জানান, সৎকার হচ্ছে ধর্মীয় পূর্ণ কাজ। আর শক্তিমানের দাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা আও পাঁচজনকে গুলিতে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক কি হতে পারে। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষের জীবন নিয়ে পাহাড়ে অরাজকতা যারা সৃষ্টি করছে তারা কখনও দেশকে ভালবাসে না। তারা জাতির, দেশের শত্রু। তাদের এখনি প্রতিহত করতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে না পারলে জাতির, দেশের অনেক ক্ষতি হবে।
সমাবেশের আগে একইদিন সকালে রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেটের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. শামীম, অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন’র সভাপতি পরেশ মজুমদার প্রমুখ।এসময় জেলার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একাত্বতা ঘোষণা করে এই সমাবেশে যোগদান করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আগত সচেতন নাগরিক সমাজের নাগরিকরা অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে।